রেজা ঘটক

একেবারে সাধারণ দর্শকরাও ফিফার এই ফিক্সিং স্ক্রিপ্টটা ধরতে একদম ভুল করে নাই। কেন ফ্রান্স মাত্র ১০ মিনিট ভালো খেললো আর বাকি সময়টা নিস্তেজ থাকলো, কেন গত সপ্তাহ থেকে ‘ক্যামেল ফ’¬ু আতঙ্ক ছড়ানো হলো, বিশ্ব মিডিয়া দিয়ে সবাইকে জানানো হলো যে ফ্রান্স শিবিরে আতঙ্ক, কেন এতো নাটক করা হলো, এসব একদমই দিবালোকের মতো পরিস্কার। ফিফা চেয়েছে এবার লিওনেল মেসিকে বিশ্বকাপ দিতে। সে অনুযায়ী খেলা হয়েছে, ব্যাস। দিস ইস অ্যবস্যুলেটলি এ স্ক্রিপ্টেড গেম। প্রথম যে ভুয়া পেনাল্টি দিয়ে আর্জেন্টিনাকে খেলায় এগিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেটি সরাসরি বিশ্ববাসীর চোখে লেগেছে। ফিফার এই একচক্ষু সবার কাছেই দৃশ্যমান ছিলো। খেলাকে-খেলা হিসেবে সবাই মেনে নিয়েছে। আমার মনে একটা রহস্য কিন্তু থেকেই গেল, কেন দেঁশম গ্রিনজম্যানকে উঠিয়ে নিল। ওখানেই আজকের খেলার কী-পয়েন্ট। পুরো বিশ্ব চেয়েছে মেসির হাতে কাপ উঠুক। ফিফা তা সুন্দর একটি স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। এরকম সাজানো ও পাতানো খেলা দেখে আমার স্রেফ পোষায় নাই। আর্জেন্টিনার টিম ও সমর্থকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মেসিকে নিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা ও কার্যকর করানোর জন্য ফিফাকে মুবারকবাদ। ভবিষ্যতে তোমাদের স্ক্রিপ্ট আরেকটু ভালো করতে হবে। নইলে কেমন একেবারে চেনা-চেনা লাগে। আমাদের মামুন মামু পর্যন্ত ধরে ফেলিছে। আরেকটু স্মার্ট স্ক্রিপ্ট লাগবে বাপু। আর রোহিঙ্গা রেফারি দিয়ে ভবিষ্যতে খেলাটার সৌন্দর্য নষ্ট না করার জন্য ফিফার কাছে অনুরোধ রইল। একেবারে ক্রোয়েশিয়ার সাথের ম্যাচের সাথে আজকের ম্যাচের স্ক্রিপ্ট কেমন যেন মিলে যায়।

 অনেকটা আমাদের ক্রসফায়ার নাটকের স্ক্রিপ্টের মতো। কিন্তু দলটি যেহেতু ফ্রান্স, আর ওদের আভিজাত্যে টান লাগায় ওরা স্রেফ ১০ মিনিটে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ওরা অপ্রতিরোধ্য, ওরা ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু বিশ্ববাসীর চাওয়া, টিআরপি, ফিফার বাণিজ্য আর নতুন প্রজন্মের জন্য ফুটবলের কিছু ইতিহাস রচনার প্রত্যাশিত চাওয়া অনুযায়ী- কাপ তো মেসিকে দিতেই হবে, তাই খেলাটি ট্রাইবেকারে গড়িয়েছে মাত্র, ব্যাস। খেলা নিয়ে এটুকুই বললাম। একদম ফিক্সিং ম্যাচ। ফিফাকে আরেকটু স্মার্টলি ডিল করতে হবে। কাল্লুর বাপও ধইরা ফেলায়, এইডি কুনু কতা, এ্যাঁ। বিশ্বকাপ ফুটবলে আমার প্রচুর সময় নষ্ট হয়েছে। কাল থেকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ব। যাদেরকে খেলা নিয়ে নানান কিসিমের ট্রল করেছি, সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। খেলাকে এনজয় করুন। ট্রলকে নয়। ফুটবল হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দের প্রতীক। ফুটবল হোক আনন্দ ও বন্ধুত্বের প্রতীক। আমরা ফুটবলকে যেন ভালোবাসি। হিংস্রতাকে নয়, হিংসাকে তো নয়ই। সবাইকে খ্রিস্টমাস ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ফেসবুক থেকে